উদ্ভাবকের কথা

inovator

ভুয়া সাহায্যপ্রার্থী দ্বারা বিভ্রান্তি বা তার প্রতি সন্দেহই প্রকৃত অভাবী মানুষের জন্য সম্ভাব্য অনুদানের প্রধান অন্তরায়।

  • একটি শিশু ক্যান্সারে আক্রান্ত তার চিকিৎসার অর্থের প্রয়োজন।
  • একজন বয়স্ক নাগরিক পেনশনের টাকায় জীবনযাপন করেন হার্ট ট্রান্সপ্ল্যান্টের জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন।
  • প্রাকৃতিক দুর্যোগে একটি পরিবার ঘর বাড়ি হারিয়েছে।
  • মেধাবী শিক্ষাথীর শিক্ষার জন্য সাহায্য প্রয়োজন।
  • ফেসবুকে প্রচুর “মাকে বাচাতে টাকা পাঠান” ক্যাম্পেইন চালানো হয়।
  • বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বা রোগীর আত্মীয়দের রাস্তায় এবং মলগুলিতে দান বাক্স নিয়ে দান সংগ্রহের জন্য আবেদন।

এগুলি এমন গল্প যা আমরা দৈনন্দিন জীবনে বা প্রায়ই দেখতে পাই। উপরোক্ত প্রায় সকল ক্ষেত্রেই অনেকেই সাহায্য করতে এগিয়ে আসতে চান। কিন্তু সাহায্যপ্রার্থী প্রকৃত অভাবী ব্যক্তি কিনা এই সন্দেহ বা বিভ্রান্তির কারণেই অনেক দাতারা পিছিয়ে যান। অথচ অনুদানের আবেদনটির সত্যতা নিশ্চিত করে আশ্বস্ত করতে পারলে অনেক জীবনই বাচানো/উন্নত করা সম্ভব। আর সেই লক্ষেই Charity.gov.bd পোর্টালটি তৈরী করা হয়েছে।

মূলত Charity.gov.bd পোর্টালটি নিম্নের ২টি বিষয়কে কেন্দ্র করে তৈরী করা হয়েছেঃ

  • সকল আবেদন সরকারী কর্তৃপক্ষ দ্বারা যাচাইকৃত এবং
  • অনুদান সরাসরি সাহায্য প্রার্থীর একাউন্টে যাবে

এ প্রকল্পের আওতায় অনুদান প্রার্থীর আবেদনের বৈধতা ও সত্যতা স্ব স্ব জেলার জেলা প্রশাসক এবং/অথবা উপজেলা নির্বাহী অফিসার/ উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা কর্তৃক যাচাইপূর্বক সিস্টেমের মাধ্যমে লাইভে আনা হবে। এক্ষেত্রে আবেদনকারীর আবেদন যাচাইকরণ প্রক্রিয়া শেষেই শুধুমাত্র অনুদান হস্তান্তর করা হবে, যার সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া সিস্টেম কর্তৃক পরিচালিত হবে। এছাড়াও সিস্টেমে আর্থিক লেনদেন পর্যবেক্ষণের জন্য একটি ড্যাশবোর্ড থাকবে। এতে একদিকে ভুয়া সাহায্য প্রার্থীর দৌরাত্ম থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে, অপরদিকে প্রকৃত সাহায্য প্রার্থীরা উপকৃত হবে।

অ্যাপ্লিকেশনটিতে যেতে পারেন এবং মামলার সত্যতা যাচাই করতে সেই অনন্য রেফারেন্স নম্বরটিতে (যা তারা অনুদানের আবেদনগুলিতে দেখেছিলেন) ক্লিক করতে পারেন এবং তারপরে কোনও দ্বিধা ছাড়াই অর্থ দান করতে পারেন।

অপরদিকে দাতা প্রান্তে দাতা সিস্টেমে গিয়ে আবেদনের সাথে সংযুক্ত ইউনিক রেফারেন্স নম্বর থেকে সত্যতা যাচাইপূর্বক নিজের পরিচয় প্রকাশ করে অথবা নিজের পরিচয় গোপন করে অনুদান পাঠাতে পারবে। যেহেতু পুরো ব্যবস্থাপনা অনলাইনে হবে, সেহেতু পুরো প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিশ্চিত হবে বলে আমি/আমরা আশাবাদী।



মোহাম্মদ সামাওয়াত উল্লাহ
উদ্ভাবক ও প্রকল্প পরিচালক, চ্যারিটি - নির্বিঘ্ন দাতব্য সেবা
সহকারী অধ্যাপক, কম্পিউটার সাইন্স বিভাগ, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (এ. আই. ইউ. বি.)
ব্যবস্থাপনা পরিচালক, অলিভিন লিমিটেড
কমনওয়েলথ স্কলার ২০১৩-২০১৪ , ডারহাম ইউনিভার্সিটি, ইউ. কে.



চ্যারিটি - নির্বিঘ্ন দাতব্য সেবা
শেখ হাসিনার অবদান, ডিজিটাল হলো জীবনমান